কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা আলিখালী আইআরসি হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে স্থানীয় ওমর আলীর স্ত্রী জাহেদা বেগম (৫৫) মাথা ব্যথা সংক্রান্ত অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার, নার্সরা তাকে বিস্তারিত শুনে ওষুধপত্র লিখে দেন। কিন্তু তিনি (জাহেদা) বাড়িতে গিয়ে তার ছেলেদের জানান ডাক্তার তার সাথে ভাল ব্যবহার করেননি।
ফলে তিনি তার ছেলে জয়নাল, আবছার উদ্দিন, মাঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন লোক দা, বটি, লাঠিসোটা নিয়ে রাত ১০-১১ টার সময় হাসপাতালে ব্যাপক হামলা করে ফার্মেসির বাউন্ডারি গ্লাস বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাংচুর করে।সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের মেঝেতে ফার্মেসির কাচ পড়ে আছে। তাছাড়া বিভিন্ন ভাঙ্গা যন্ত্রপাতিও পড়ে আছে। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের কার্যক্রম চালু রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
অভিযোগকারী জাহেদা বলেন, ডাক্তার বাংলা ভাষায় কথা বলেছেন। আমার মনে হয়েছে তিনি আমার সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেছেন। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীর মাধ্যমে জানতে পারি, ভাষাগত সমস্যার কারণে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আসলে ডিউটি ডাক্তার তার সাথে কোনপ্রকার খারাপ মন্তব্য করেননি।
এ বিষয়টি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে সুরাহা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, জাহেদা বেগম এর আগে ২০২০ সালেও এ ধরণের আরও একটি ঘটনা ঘটিয়েছিল। সেসময়ও সে তার ছেলে-সন্তান আর আত্মীয়-স্বজন নিয়ে হাসপাতাল ভাংচুরের চেষ্টা করেছিলেন।
পাঠকের মতামত: